
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট চন্দন কুমার পালের জামিন বাতিল করেছে আদালত।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় জামিনে থাকা চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন বর্তমান পিপি এডভোকেট আব্দুল মান্নান।
এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাহমুদুল হাসান রাকিব, এনসিপি নেতা রাশেদুল হাসান দেওয়ান, শেরপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শাহনুর রহমান সায়েম, মোর্শেদ জিতুসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র হত্যা মামলাসহ মোট ছয়টি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান চন্দন কুমার পাল। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকেও তিনি একটি মামলায় জামিন লাভ করেন এবং ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
চন্দন কুমার পালের মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়লে শেরপুরের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। গুঞ্জন ওঠে—জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি দেশত্যাগ করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে গত ৬ অক্টোবর (সোমবার) শেরপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা, জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা ডিসি গেট এলাকায় বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও আদালত চত্বর এক সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
পরে ওইদিন বিকেলে চন্দন কুমার পালের দেশত্যাগের আশঙ্কায় তার পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আবেদন করেন। শুনানি শেষে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পালের পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।