জাহিদ হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় হালকা থেকে মাঝারি এবং কখনো কখনো ভারি বাতাস বইছে। একই সাথে অব্যাহত রয়েছে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে।
অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দু’দফা জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বেঁড়িবাধের বাইরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। ভাঙা বেঁড়িবাধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম। তলিয়ে গেছে নদী তীরের অনেক ইটভাটা, মাছের ঘের, পুকুর, ঘরবাড়ি। কিছু এলাকায় খোলা স্লুইজগেট দিয়ে জোয়ারে পানি লোকালয়ে প্রবেশের সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে আউষ চাষাবাদ। সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে নীলগঞ্জের কৃষকদের।
জেলার বড় নদী বিশেষ করে তেঁতুলিয়া, রাবনাবাদ, আগুনমুখা, পায়রা অশান্ত হয়ে পড়ায় ছোট নৌযান ও ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় আগেভাগেই ফিরে এসেছে গভীর সাগরে মাছ শিকাররত কয়েক হাজার ট্রলার। এসব ট্রলার এখন আশ্রয় নিয়েছে দেশের বৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এসব পর্যটকদের সমুদ্র তীরে সতর্কতার সাথে চলাচলের অনুমতি মিললেও সাগরে সাঁতার কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম সতর্কতার সাথে চলছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপটি শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ শঙ্কায় পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।