শেরপুর(সদর)প্রতিনিধি
অদ্য ২৮/০৫/২৫ ইং রোজ শনিবার সকাল ৮:৩০ থেকে ৯ টায় শেরপুর ইউনাইটেড প্রাঃ হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক কন্যা শিশু চুরি হয় বলে জানা যায়।
জানা যায় গত তিনদিন আগে শহরের চাপাতলী মহল্লার মোঃ লালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফিরুজ মিয়া তার গর্ভবতী স্ত্রী কে সিজারিয়ান এর জন্য শহরের বটতলায় অবস্থিত ইউনাইটেড প্রাঃ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাদের একটি কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। এটি ছিল তাদের তৃতীয় সন্তান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তারা দৈনিক সময়ের কন্ঠ কে জানায় অজ্ঞাত এক মহিলার চক্রান্তে এমন হৃদয়বিদারক দূর্ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য অনুসন্ধানে আমরা হাসপাতাল স্টাফ ও উপস্থিত লোকজনের কাছে জানতে পারি অজ্ঞাত এক মহিলা তাদের সাথে মিশে কৌশলে নবজাতক শিশুটি কে নিয়ে পালিয়ে যায়।
সিসি টিভি ফুটেজে অজ্ঞাত ঐ মহিলাকে আংশিক শনাক্ত করা গেলেও এখনো পর্যন্ত চুরি হওয়া নবজাতকের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিকিউরিটি সিস্টেমের ব্যার্থতার জন্য ঘটনা টি ঘটে কারন হিসেবে উল্লেখ করা হয় পুরো হাসপাতাল জুড়ে সিসি টিভি ক্যামেরা সচল থাকলেও ওই নবজাতকের রুমের সিটি টিভি ক্যামেরা টি নষ্ট বলে অবিহিত করা হয়। এছাড়াও তারা জনায় ২য় ও ৩য় তলার সিসি ফুটেজ যদি আমাদের দেওয়া হয় তবে ঐ অজ্ঞাত মহিলাটি কে সহজে শনাক্ত করা যাবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়।
পক্ষান্তরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান ঐ অজ্ঞাত মহিলা রোগীর সাথে কাল বিকেল থেকে এক সাথে আছে এবং তাদের পাশের বেডে রাত্রী যাপন করেছেন। তারা আমাদের একবারও অবহিত করেন নি যে একজন অজ্ঞাত মহিলা তাদের রুমে আছে। এমন কি রোগীর স্বজনদের হাত থেকে নবজাতক বাচ্চাটি নিয়ে পালিয়ে যায় এখন আমরা কি করে বুঝবো ওনি রোগীর আত্মীয় না অজ্ঞাত ব্যাক্তি..?
সিসি টিভি ফুটেজের কথা জানতে চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ আমাদের জানান স্টোরেজ ফুল হয়ে যাওয়ায় উল্লেখিত ঘটনাটি রেকর্ড হয় নি। তারা আরও জানান প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই একটি সংঘববন্ধ চক্র এমন ন্যক্কার জনক ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়।