দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার একতা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন আশা মনি (২৫) নামের এক গর্ভবতী নারী। পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা এবং গাফিলতির কারণেই এই হৃদয়বিদারক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (তারিখ উল্লেখ করুন) দুপুরে প্রসবজনিত কারণে বীরগঞ্জ পৌর শহরের বলাকা মোড়ের চা দোকানি অতুলের ছেলে হৃদয়ের স্ত্রী আশা মনিকে ভর্তি করা হয় বীরগঞ্জের একতা ক্লিনিকে। চিকিৎসকের সিদ্ধান্তে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয়। পরিবারের দাবি, অপারেশন চলাকালীন সময়েই তার মৃত্যু হয়।
তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক ডা. ইয়াসমিন এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তড়িঘড়ি করে মৃত প্রসূতিকে “সুস্থ রোগী” হিসেবে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং ভর্তি দেখিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়।
জনরোষে উত্তাল বীরগঞ্জ। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বীরগঞ্জ এলাকা। স্থানীয় জনতা ও স্বজনরা ক্লিনিক ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। মুহূর্তেই জড়ো হয়ে যায় শত শত মানুষ। ক্লিনিক মালিক রিপন এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও স্টাফরা পালিয়ে যান। এরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ক্লিনিকের সামনে অনশন শুরু করেন।
জনতার দাবি দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং চিকিৎসায় অবহেলার নজিরবিহীন তদন্ত ভবিষ্যতে এমন মৃত্যু যেন আর না ঘটে। নবজাতক বেঁচে গেছে যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে মা আশা মনি প্রাণহারান, তবে সৌভাগ্যক্রমে নবজাতক শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সে পরিবারের হেফাজতে রয়েছে এবং তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জানা যায় – অভিযুক্তরা হলেন চিকিৎসক: ডা. ইয়াসমিন ও ক্লিনিকের মালিক রিপন। তার সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। মৃত আশা মনির স্বামী হৃদয় দৈনিক সময়ের কন্ঠকে জনান বর্তমান অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক রয়েছে।
একটি প্রাণের বিনিময়ে ধামাচাপা নয় — চাই বিচার, চাই জবাবদিহি।” বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল জনতা।