
মোঃ মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার :
দিনাজপুরে খানসামা উপজেলায় নির্ঝরা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের অটো রাইজ মিল দিয়ে অধিক মুনাফার আশ্বাস দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব করার অভিযোগ উঠেছে মাসুদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে।
২৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকায় খানসামা প্রেসক্লাবে মাসুদুজ্জামান সরকারের কাছে পাওনা টাকা ফিরত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সিরাজুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে “নির্ঝরা ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ (অটো রাইস মিল)” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিতে আবদ্ধ হই। উক্ত মিলে ঠিকানা: রামকলা বাজার। মিলের মালিক মাসুদুজ্জামান সরকার, পিতা: মৃত মকছেদ আলি সরকার; স্থায়ী ঠিকানা: সুবর্ণখুলি, সাবুদেরহাট, খানসামা, দিনাজপুর; বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম টংগুয়া, ডাকঘর টংগুয়া।
উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে অগ্রিম ফেরতযোগ্য জামানত নির্ধারণ করেন-জামানত: ৬০,৫০,০০০/- (ষাট লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র। উক্ত টাকা প্রথম পক্ষ মোঃ মাসুদুজ্জামান সরকার দ্বিতীয় পক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলামের নিকট হইতে মে ২০২৪ হইতে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে নগদে গ্রহণ করেন এবং প্রাপ্তি স্বীকার করেন।
চুক্তির মেয়াদকাল:
চুক্তিপত্র অনুযায়ী, দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অগ্রিম টাকা ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ফেরতযোগ্য থাকিবে। তবে মিল চালুর দিন হইতে ৩ (তিন) বছর মেয়াদে চুক্তি বলবৎ থাকবে।
অর্থাৎ ২৩/০৯/২০২৪ ইং হইতে ২৩/০৯/২০২৭ ইং পর্যন্ত চুক্তি কার্যকর থাকবে।
উক্ত চুক্তিপত্রের দলিল খানসামা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যথাযথভাবে সম্পাদিত হয়েছে।
কালার শর্টার মেশিন সম্পর্কিত শর্ত:
যদি কালার শর্টার মেশিনের পাসওয়ার্ডজনিত কারণে মিলের উৎপাদন কার্যক্রম স্থগিত থাকে, সেক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ মোঃ মাসুদুজ্জামান সরকার দ্বিতীয় পক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলামকে দৈনিক ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন।
প্রতারণা ও আত্মসাতের বিষয়:
মিল চালুর সময় নানা সমস্যা সৃষ্টি করে, মাসুদুজ্জামান সরকার আমার অনুমতি ছাড়া মিলের চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে খানসামা থানা পুলিশের সহায়তায় চাল আটক করি।
চুক্তি চলমান থাকা অবস্থায় ২৮/০৫/২০২৫ ইং তারিখে গোপনে মিলটি হাজি কায়সার হামিদ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালক, এন.আর.কে. অটো রাইস মিল লিমিটেড, সিংগাইর, মানিকগঞ্জের নিকট হস্তান্তর করেন এবং আমাকে মিল থেকে বের করে দেন।
-১
এরপর থেকে মাসুদুজ্জামান সরকার বিভিন্ন অজুহাতে আমার জামানতের ৬০,৫০,০০০ টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করে আসছেন।
সর্বশেষ ২২/০৪/২০২৫ ইং তারিখে তিনি নিজের স্বাক্ষরিত হিসাব বিবরণীতে অতিরিক্ত ৩,০০,০০০ টাকা গ্রহণের স্বীকারোক্তি দেন। ফলে মোট প্রাপ্য দাঁড়ায় ৬৩,৫০,০০০ টাকা।
এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ মাসুদুজ্জামান সরকার ২৬,৫০,০০০ টাকা আমার নিকট হইতে গ্রহন করেছে, অর্থাৎ মোট প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ৯০,০০,০০০/-(নব্বই লক্ষ) টাকা।
আমি যখন এই টাকা ফেরতের দাবি জানাই, তখন তিনি আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন। আমার প্রাপ্য টাকা আত্মসাতের কৌশল হিসেবে তিনি আমার ও আমার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, খানসামা, দিনাজপুরে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
আমি উক্ত মিল মালিক মাসুদুজ্জামান সরকারকে এই সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে জানাচ্ছি যে আমার উলখিত্ত ৯০ লক্ষ টাকা দ্রুত পরিশোধ ও মিথ্যা মামলা প্রতাহারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি
আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমার ন্যায্য পাওনা ফেরত ও নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এবং পাওনা টাকা ফিরত না দিলে মাসুদুজ্জামান সরকার সহ নির্ঝরা ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ (অটো রাইস মিল) এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বাধ্য হবে বলে তিনি জানান