মেহেরপুরের গাংনীর রাইপুর ইউপি কমপ্লেক্স ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩শে অক্টোবর) দুপুরে মহিলা ইউপি সদস্য নারগিছ আক্তারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায়। এসময় ৩৬ বস্তা সরকারি চাল লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মানববন্ধন করেছে প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলামের লোকজন।
প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম জানান, তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের গুদামে চাল রেখে ভিডব্লিউডির চাল বিতরণ করছিলেন। এ সময় মহিলা সদস্য নারগিছ তার স্বামীসহ দুর্বৃত্তরা ইউপি কমপ্লেক্সে এসে হঠাৎ করে হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৩৬ বস্তা চাল লুট করে। এ ছাড়াও জন্ম-মৃত্যু রেজিস্টার নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন তিনি।
সারগিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের গোপালনগরে বালু উত্তোলন হচ্ছিল। ইউএনও সাহেবের নির্দেশে আমি সেখানে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বলি। সেজন্য এই সন্ত্রাসীরা আমার উপর চড়াও হয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছে।’
এদিকে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মহিলা ইউপি সদস্য নারগিছ। তিনি জানান, তার ওয়ার্ডের কয়েকজনের চালের কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে চাল দেওয়া হয় না। এ বিষয়টি জানতে সেখানে যান তারা। এ সময় সারগিদুল ও তার লোকজন তাদের উপর হামলার প্রস্তুতি নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ইউপি কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে আসেন তারা।
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, ইউপি কমপ্লেক্স ভাঙচুরের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক, আমি শুনেছি বিস্তারিত। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’