ওপেনার সৌম্য ও সাইফ। দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়ে ১৭৬ রান যোগ করেন তারা দুজন। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ও লিটন।
তবে আশা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি সাইফ ও সৌম্য। ৬টি করে চার-ছক্কায় ৮০ রান করে ক্যাচ আউট হন সাইফ। আর সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৯১ রান।
ওপেনারদের বিদায়ের পর আর বাড়েনি রানের গতি। উল্টো পেছন পানে হাঁটা ধরে বাংলাদেশ। দুইবার জীবন পেয়েও ৫৫ বলে ৪৪ রানের বেশি করতে পারেননি শান্ত। তিন নম্বরে নামা হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ২৮ রান।
আগের দুই ম্যাচে ঝড় তোলা রিশাদ হোসেনকে নামানো হয় ছয় নম্বরে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। আকিল হোসেনের করা ৪৬তম ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ ও নাসুম আহমেদের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরে অষ্টম উইকেটে ২৪ বলে ৩৫ রান যোগ করেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৭ বলে ১৭ রান করেন মিরাজ আর সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৬ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আকিল হোসেন। তাদের ফিল্ডাররা ছেড়ে দেয় ৬টি ক্যাচ। এর মাশুল দিয়ে বড় পরাজয়ের সিরিজটিও হেরে যায় তারা।
চট্টগ্রামে আগামী সোমবার শুরু হবে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (সাইফ ৮০, সৌম্য ৯১, হৃদয় ২৮, শান্ত ৪৪, অঙ্কন ৬, রিশাদ ৩, নাসুম ১, সোহান ১৬*, মিরাজ ১৭; আকিল ১০-১-৪১-৪, চেজ ৮-১-৫৩-১, পিয়েরে ১০-০-৪৬-০, গ্রিভস ৭-০-৬১-০, মোতি ৮-০-৫৩-১, আথানেজ ৭-০-৩৭-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩০.১ ওভারে ১১৭ (আথানেজ ১৫, কিং ১৮, অগাস্ত ০, কার্টি ১৫, হোপ ৪, রাদারফোর্ড ১২, চেজ ০, গ্রিভস ১৫, মোতি ৭, আকিল ২৭, পিয়েরে ০*; নাসুম ৬-১-১১-৩, মিরাজ ৭-০-৩৫-১, তানভির ৮-০-১৬-২, রিশাদ ৯-০-৫৪-৩)
ফল: বাংলাদেশ ১৭৯ রানে জয়ী
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ অন্তর হোসেন রকি, বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: +৮৮ ০১৬০৬৬১৮১৪৭
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত