
ডেস্ক রিপোর্ট, দৈনিক সময়ের কন্ঠ :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের কড়াইবাড়ীতে গত ৩ জুলাই রিক্তা আক্তারের চোখের সামনে একে একে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলিয়ে হত্যা করা হয় তার মা রুবি আক্তার, ভাই রাসেল ও বোন জোনাকিকে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তার ছোট বোন রুমা আক্তার এখন রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে বাদ যায়নি তার ভাইয়ের ১১ মাস বয়সী শিশু রাইসাও।
টয়লেটে লুকিয়ে কোনোমতে প্রাণে বাঁচতে পেরেছেন রিক্তা আক্তার ও তার ভাবী মিম আক্তার। কিন্তু ঘটনার পর পলাতক থাকার কথা আসামিদের অথচ পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভুক্তভোগী এই পরিবারকেই। রিক্তা আক্তারের অভিযোগ, হত্যা মামলার মূল আসামি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ প্রধান আসামিরা রয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার আশ্রয়ে। এ কারণেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।
রিক্তা আক্তার বাংলাভিশনকে বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ মূল আসামিরা সবাই এখনও বাইরে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। তারা বাইরে থেকে উল্টো আমাদেরই হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে আমাদের পেলেই শত শত টুকরো করে মারবে। তাই আমরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
এ ঘটনায় দোষীরা স্থানীয় সরকার ও যুব উন্নয়ন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের আশ্রয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিক্তা আক্তার এবং তার ভাবী মীম আক্তার।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর একই এলাকার আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটে আরও একটি ঘটনা। এই ঘটনার ভুক্তভোগী ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিখা রানীর অভিযোগ, ওইদিন তাকে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রেখে প্রথমে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হলে একপর্যায়ে তার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখে বিবস্ত্র করেও চালানো হয় নির্যাতন। পরে তাকে স্কুল থেকে বের করে ঘুরানো হয় গ্রামের প্রধান সড়কগুলোতে। যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ভিডিওতে শিখা রানীকে হেনস্থাকারীদের দলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসাইনকেও দেখা যায়।
সূত্র : বাংলাভিশন টিভি