শেরপুর সদর প্রতিনিধি :
‘আলোকিত মানুষ, বিকশিত বাংলাদেশ’-এমন শ্লোগানে শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি সম্প্রসারণে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ অনুষ্ঠান। মোবাইল ফাইন্যান্সিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডে সহায়তায় দেশব্যাপী উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২৩ জুলাই বুধবার দুপুরে শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ বই বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল-মামুন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। কর্মসূচির যুগ্ম পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বিকাশ লিমিটেড-এর ইভিপি এন্ড হেড অব রেগুলেটরী এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির, সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, সংগঠক হাকিম বাবুল প্রমুখ।
পরে জেলা সদরের ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের জন্য শিক্ষক প্রতিনিধির হাতে বাংলার চিরায়ত সাহিত্য ও বিশ্ব সাহ্যিত্যের সৃজনশীল ৯৬টি করে বই প্রদান করা হয়। বিদ্যালয় গুলো হলো-শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নবারুণ পাবলিক স্কুল, জি. কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ লাইন্স একাডেমী ফর ক্রিয়েটিভ এডুকেশন (প্লেস), উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও শেরপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। এর আগে ৬টি বিদ্যালয় থেকে আগত ৩০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং অতিথিরা বিজয়ী ৪০ জনের হাতে পুরষ্কারের বই ও সনদপত্র তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বইপড়ার বিকল্প নেই। বই জীবনকে আলোকিত করে সমৃদ্ধ করে। জ্ঞানসমৃদ্ধ জীবন দিতে পারে বই। বইপড়ার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটে। এজন্য পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিশ্ব সাহিত্যের বিভিন্ন সুজনশীল বই পড়তে হবে। তবেই জ্ঞানের বিসৃতি ঘটবে এবং জীবনচলার পথ সুগম হবে।
বিশেষ অতিথি বিকাশ লিমিটেড-এর ইভিপি এন্ড হেড অব রেগুলেটরী এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, ২০১২ সাল থেকে বিশ্বসাহ্যিত কেন্দ্রের এ কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বিকাশ লিমিটেড। এই সময়ে ৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ লক্ষাধিক বই বিতরণ করা হয়েছে। যার থেকে উপকৃত হয়েছে ৩৩ লাখ শিক্ষার্থী।
সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বইপড়া কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যপী আলোকিত মানুষ তৈরীর কাজ করে যাচ্ছে। গত ৪৭ বছরে বই দ্বারা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ২ কোটি শিক্ষার্থীকে ছুঁয়ে দেখেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উদ্দীপনামুলক বক্তব্যে বলেন, ছাত্রজীবন হলো প্রস্তুতির সময়, নিজেকে তৈরী করার সময়। যেকারণে এ সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে ছাত্রজীবন পার করতে না পারলে, ভবিষ্যতের সঠিক পথটি পাওয়া হয় না। ছাত্রজীবনে মা-বাবা, শিক্ষকদের কথা মেনে চলতে হবে, তবেই জীবনের সঠিক পথ পাবে।