মোঃ মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার :
নীলফামারীর কুন্দপুকুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফকির পাড়া জামে মসজিদের মোতোয়ালি সৈয়দ ইয়াছিন আলী শাহ ফকিরের বিরুদ্ধে ওয়াক্ফ সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উক্ত মসজিদের ওয়াক্ফ সম্পত্তি পরিমাণ প্রায় একশত বিঘা।
উক্ত মসজিদের মোতোয়ালি বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওয়াক্ফ সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ এনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়াক্ফ পরিদর্শক কার্যালয় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল আবেদন করেন উক্ত মসজিদের মুসল্লি হারুন অর-রশিদ তার অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ জুলাই বুধবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে একটি তদন্ত কমিটি সরেজমিনে এসে মোতোয়ালি এবং অভিযোগকারী উভয় পক্ষের কথা শুনেন এবং মসজিদের মুসল্লিদের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেন।
তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তার এক প্রশ্নের জবাবের
মোতোয়ালি সৈয়দ ইয়াছিন আলী শাহ ফকির স্বীকার করেন যে তিনি মসজিদের সকল সম্পত্তি বন্ধক রেখেছে। তবে তিনি জানান ওয়াক্ফ সম্পত্তি বন্ধকের টাকা দিয়ে তিনি মসজিদের উন্নয়নের কাজে লাগিয়েছেন।
মসজিদের মুসল্লি মোঃ মোশারেফ হোসেন বলেন যেই মসজিদে একশত বিঘা সম্পত্তি থাকে সেই মসজিদের কি এই দশা কখনো হতে পারে? মসজিদের ভালো কোন টয়লেট নেই তাহলে এত সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে তিনি টাকাগুলো কি করেছেন?
মনসুর আলী নামের আরেকজন মুসল্লি বলেন মসজিদের এতগুলো সম্পত্তি থাকার পরেও মসজিদের কোন বাউন্ডারি ওয়াল নেই তাহলে মসজিদের এত সম্পত্তি থেকে লাভ কি হল। মসজিদের সকল সম্পত্তি মোতোয়ালি আত্মসাৎ করেছেন।
বাদল ইসলাম বলেন মসজিদের পাশে একটি বাচ্চাদের আরবি শেখানোর জন্য মক্তব ( মাদ্রাসা) রয়েছে।সেখানে ভালো কোন শিক্ষক নেই পড়ানোর জন্য। মক্তব (মাদ্রাসা) ঘরটি চলার জন্য অবস্থায় রয়েছে, টিনগুলো পুরনো হয়েছে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। কোনরকম ইটের গাঁথুনি দিয়ে ঘরটি দার করে রাখা হয়েছে, পলেস্তরা করা হয়নি। তাহলে এতগুলো সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে মোতোয়ালি টাকা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছে।
তদন্ত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন কুন্দপুকুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং মসজিদের মুসল্লিরা।
তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরেজমিনে এসে তদন্ত করে দেখলাম এখন তদন্ত রিপোর্ট আমার ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। ওনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।