ডেস্ক রিপোর্ট, দৈনিক সময়ের কন্ঠ : 

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকির ইসলামের জানাজা শেষ হয়েছে। জানাজা শেষে বিমানবাহিনীর একটি বিমানে তৌকিরের মরদেহ রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে নিহত পাইলটের জানাজা রাজধানীর কুর্মিটোলায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

এর আগে নিহত পাইলট তৌকির ইসলামের ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। ফিউনারেল প্যারেড হলো সামরিক বা আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা।

মরদেহবাহী বিমানে তৌকিরের বাবা ও মামাসহ বিমান বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা রয়েছেন।

জানা গেছে, তৌকির ইসলামের দাফন হবে রাজশাহীতে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে তার কবর। বিকেলে রাজশাহীতে দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন পাইলট তৌকিরের চাচা মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, গতকাল মৃত্যুর খবর শোনার পর তৌকিরের পরিবারকে ঢাকায় নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ রাজশাহীতে আনা হবে। এরপর বিকেলে রাজশাহী সপুরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে রাজশাহী উপশহর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা হবে।

গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগর প্রশিক্ষণ বিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।