আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক সময়ের কন্ঠ:
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যৌথ সামরিক অভিযানে ইরানের বেশ কিছু পারমাণবিক স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলেও এখনো অক্ষত রয়েছে তেহরানের ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জ্যেষ্ঠ এক ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল ২১ জুন ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ১৪টি ৩০০ পাউন্ড ওজনের ‘বাংকার বিধ্বংসী’ বোমা ফেলে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত একটি বড় অংশের সেন্ট্রিফিউজ। মার্কিন ও ইসরাইলি উভয় পক্ষ দাবি করেছিল, এই অভিযানের ফলে অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
তবে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ইরানের প্রায় ১৮,০০০ সেন্ট্রিফিউজের বড় একটি অংশ ধ্বংস হলেও, দেশটির ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ অপরিবর্তিত রয়েছে। এটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল বিশেষ ধরনের কন্টেইনারে, যেগুলো এখনো ইরানি বিজ্ঞানীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান চাইলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকেই ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রস্তুতি জোরদার করে। এর পর্যাপ্ত প্রমাণ তেল আবিবের কাছে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়, যা পরে যুক্তরাষ্ট্রকেও জানানো হয়।
সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ